ক্রীড়া ডেস্ক
মরক্কোর ১ নম্বর জার্সিধারি ইয়াসিন, এখন দেশটির নায়ক। টানা তিন পেনাল্টি শুট আটকে দিয়ে স্পেনকে কাঁদিয়ে বাড়ি পাঠালো। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে মরক্কো। পেনাল্টি শুটআউটে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে স্পেন। টানা তিনটি শুট আটকে দিনে ইয়াসির আর ১টি আটকে দিল স্পেনের গোলরক্ষক। মরক্কোর শুট হয়েছে ৪টি, আর ১টি মাত্র মিস করেছে মরক্কো।
মরক্কো এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছায়। সে বার মরক্কো পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে মরক্কো অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (১৯৭৬) শিরোপা জয়লাভ করেছে। স্পেন তো ২০১০ সালে ১-০ গোলে বিশ্বকাপ ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। সেই স্পেনকে ৯০ মিনিট আর অতিরিক্তি ৩০ মিনিট মোট ১২০ মিনিট রুখে দিলে মরক্কো! পেনাল্টি শুটআউটে স্পেনকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো।
বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে এটাই মরক্কোর সেরা সাফল্য। এই ম্যাচের আগে থেকেই আলোচিত ছিল মরক্কো স্পেনকে রুখে দিতে পারে, সম্ভাবনা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। বাস্তবেই মরক্কো স্পেনের সমতুল প্রতিপক্ষের মতো খেলেই পেনাল্টি পর্যন্ত চলে যায়।
ম্যাচটা একক ভাবেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছে স্পেন। কিন্তু ২০২২ সালের মরক্কো দলটা কঠিন পরীক্ষা দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। তাই স্পেনে পক্ষে প্রথমার্ধে গোল করা হয়নি। তবে ম্যাচের ২৫ মিনিটে মরক্কোর ডিফেন্সের ভূলে সাথে গোলরক্ষকেরও খানিকটা দোষ ছিল, ব্যাকপাসে বল পেয়ে যায় স্পেনের মধ্যমাঠ। আক্রমণে গিয়ে স্পেনের ৯ নম্বর গ্যাভি মরক্কোর বার পোষ্ট বল মারলেন ফাঁকা পেয়েও। ফিরতি বল ১১ নম্বর টোরিস মাথার উপর দিয়ে বাইরে পাঠালেন বল!
আর ম্যাচে ৪২ মিনিটে এবং ৪৪ মিনিটে মরক্কো গোল পেতে পারত। কিন্তু আক্রমণে ভাগের ভূল আর ভাগ্য সঙ্গে না থাকায় গোল হয়নি। ০-০ ব্যবধানে থেকে দুই দল দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে যায়। এক্ষেত্রে স্পেন অনেকটা এগিয়ে ছিল মরক্কোর চেয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া স্পেন ব্যন্ত রাখে মরক্কোর গোলবার। কয়েকটি সুযোগ এসেছে, তবে সেগুলোকে হাফ চান্স বলা যায়। পুরো ম্যাচ জুড়েই স্পেনকে ফাউল করে খেলার প্রতি আগ্রহ বেশি ছিল। দুই দলের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণেই শেষ হলো ৯০ মিনিট সহ অতিরিক্ত সময় (০-০)। তবে শেষ মিনিটে বাম দিক থেকে করা মাইনাস কিকটা মরক্কোর ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে গোল পোষ্টে আঘাত করে। ভাগ্য খারাপ বলেই হয়তো শেষ মূহুর্তে জয়পা পায়নি স্পেন।
নকআউটের ম্যাচে ৯০ মিনিট ড্র-র পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও (১৫+১৫) ফলাফল ড্র-ই থাকল। অবশষে এ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় পেনাল্টি শুটআউট দেখল।